বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) রেজাউল করিম বাবলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার মাঝিড়া বন্দর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে এমপি বাবলুর কুশপুতুল দাহ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রেজাউল করিম বাবলু একজন দুর্নীতিবাজ এমপি। যিনি টাকার বিনিময়ে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ বিক্রি করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছেন। এই অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুবলীগ, শ্রমিকলীগ নেতারা এমপির লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নুকে এমপি বাবলু পিস্তল তাক করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এই দুর্নীতিবাজ এমপির শাজাহানপুরে স্থান নেই। তাকে শাজাহানপুর থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। যতদিন এই দুর্নীতিবাজ এমপির বিচার না হবে ততদিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, নাছির উদ্দিন বাবলু, জহুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ছাইফুল ইসলাম, মাহফুজার রহমান বাবলু, হান্নানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম মুক্তা, ইমরান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মোল্যা, জুলকার নাইম প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাঝিড়া বন্দর এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু তার লোকজন নিয়ে উপজেলা পরিষদে যান। এসময় উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর এমপির কাছে বরাদ্দের টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রেজাউল করিম আহত হন।
এসময় হট্টগোল শুনে উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু মিটিং থেকে বেরিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে একপর্যায়ে এমপি বাবলু তার ব্যক্তিগত পিস্তল বের করে উপজেলা চেয়ারম্যানের দিকে তাক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের লোকজন গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।
Leave a Reply