1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
পাবনা আটঘরিয়ায় আগাম জাতের শিমের বাম্পার ফলন - ইছামতী নিউজ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :

পাবনা আটঘরিয়ায় আগাম জাতের শিমের বাম্পার ফলন

মাসুদ রানা | আটঘরিয়া রিপোর্টার | পাবনা
  • Update Time : Sunday, 21 August, 2022
  • ২০৭ Time View

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় আগাম জাতের অটো শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছে কৃষকেরা। উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ^রপুর, দূর্গাপুর, রামচন্দ্রপর, নাদুরিয়া, পারখিদিপুর, খিদিরপুর, গোকুল নগর এলাকার শিম চাষি আলাউদ্দিন, মজিবর, গোলাজার হোসেন, আটঘরিয়া পৌর সভার দুলাল মৃর্ধা, আব্দুল বারেক সহ ১০ থেকে ১৫ জনের সাথে কথা হয় তারা বলেন, আমাদের এই এলাকা শিম সাগর নামে পরিচিত।

রবিবার (২১শে আগষ্ট) প্রতিবেদনে এই আগাম জাতের অটোসিম, রুপবান সিম, চকলেট শিম, ইপসা-১, ক্ষুদ্র শিম চাষিদের কাছ থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গা পাইকারি হিসেবে বিক্রয় করেন ছোট বড় শিম ব্যবসায়িরা। ইতোমধ্যে কৃষককেরা আগাম জাতের অটোশিম, বাজারে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে কৃষকেরা। এবং আশানুরুপ দামও তিনি পাচ্ছেন বলে জানান তারা। তবে আগাম জাতের অটোশিম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়া যায়।

আগাম জাতের শিম সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, অটো শিম গাছ ও পাতা সবুজ ফুল ও ফল রঙিল যাকে বলা হয় অটো শিম, গাছে গাছে বেগুনি ফুলের অপরুপ সমারোহ আর আকাবাকা লতা গাছই যেন একে অটো শিমের নাম দিয়েছে। সাধারনত শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময়টাতে শিম চাষ না হলেও শিম রাজ্য হিসেবে খ্যাত আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই এলাকার কৃষকের কাছে। এই এলাকায় অটো, রুপবান শিম চাষে কৃষকের মুখে এখন আশানুরুপ হাসি আর হাসি ফুটছে। এশিম চাষে কৃষকের আগ্রহের কোনো কমতি নেই তাদের এক কৃষক দুলাল মৃর্ধা।

অটো শিম চাষি আটঘরিয়া পৌর সভার দুলাল মৃর্ধা বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে অটো শিমের আবাদ করেছি। এই শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি প্রতি সাপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ কেজি করে শিম তুলে বাজারে পাইকারি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দের বিক্রি করছি। এতে আমার খরচবাদে মোটা অংকের একটা লাভ হবে বলে মনে করেন এই কৃষক।

কৃষক আব্দুল বারেক জানান, আমি সোয়া বিঘা জমি ২০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে অটো শিমের আবাদ করেছি। আমার শিম খেতে ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি সাপ্তাহে ৩০-৩৫ কেজি করে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছি। দামও ভালো পাচ্ছি। প্রতি কেজি ১৪৫-১৫০ টাকা দরে বাজারে পাইকারি বিক্রি করছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, আটঘরিয়া উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় এবছর ১৮৫০হেক্টর জমিতে শিমের হয়েছে। গত বছর ১৭২০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছিল। তবে এই উপজেলার আগাম জাতের অটো শিমের সাথে অতপর ভাবে জড়িত এলাকার কৃষকেরা। তবে আগাম জাতের শিম বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে কৃষক।

শিম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অটো, চকলেট ও রুপবান শিম চাষে খরচ তুলনা মূলক ভাবে বেশি হলেও এশিমের বাজার দরও বেশি। ফলে কৃষকরাও শিমে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *