বগুড়ার সান্তাহার এলএসডিতে চাল নিয়ে চলছে চালবাজি; উভয় কর্মকর্তার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।
শনিবার (২০শে আগষ্ট) বগুড়ার সান্তাহার এলএসডিতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বামনডাঙ্গা এলএসডি থেকে পাঠানো তিন ট্রাক চালের মধ্যে এখনো একট্রাক চাল নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। উভয় সংকটে একে অপরের দোষারোপ করলেও পক্ষান্তরে তারা উভয়ে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে চলেছেন। একই সাথে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার দরকার বলে মনে করছে সচেতন মানুষ। গত তিনদিন ধরে এই চাল ট্রাক বোঝায় করে এলএসডি তে অবস্থান করলেও চালের গুণগত মান খারাপ বলে সান্তাহার এলএসডির কর্মকর্তা নিতে নারাজ। একই সাথে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো চালের গুণগত মান খারাপ হওয়ার দায়ী বামনডাঙ্গা এলএসডি কর্মকর্তাও দাবি করছেন চালের গুণগতমান ভালো। কিন্তু সর্বশেষ ২০ আগস্ট দুজন কর্মকর্তার একজন জানালেন, চাল ফেরত গেছে আর একজন জানালেন, ঐচাল ওখানেই নামানো হচ্ছে। উভয়ের এই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বগুড়ার সান্তাহার এল এস ডি তে গত ১৭ ই আগস্ট রাত দুইটা থেকে ১৮ তারিখ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বামনডাঙ্গা এলএসডি থেকে পাঠানো ২০টন চালের মধ্যে ৪৪ বস্তা চাল নামিয়ে নিলেও বিভিন্ন চালবাজিতে ২টি ট্রাক ২দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। (বগুড়া-ট) ১১-০৮৭৭ নং গাড়ির চাল ক মোঃ রাজা মিয়া জানান, গত ১৬ তারিখে গোবিন্দগঞ্জের বামনডাঙ্গা এল এস ডি থেকে ২০টন করে চাল নিয়ে রাত দুইটার দিকে ৩টি ট্রাক বগুড়ার সান্তাহার এল এস ডি তে প্রবেশ করেন। এরপর একটি ট্রাক খালাস করলেও বিভিন্ন তালবাহনায় অন্যটির ৪৪ বস্তা চাল নিয়ে বাদবাকি চাল নেয়া হবেনা বলে জানানো হয়েছে। একই এলএসডি থেকে একই সারির এক ট্রাক চাল নেওয়া হয়েছে। আর অন্য ট্রাক থেকে ৪০ বস্তা নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে চাল নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী চালক রাজা মিয়া জানিয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এলএসডি কৃষ্ণপদ বর্মন জানান, চালের গুণগত মান ভালো নয় যে কারণে চাল নেয়া যাচ্ছে না। একই সাথে তিনি জানান ট্রাকটি ফেরত পাঠানোর জন্য বামনডাঙ্গা এলএসডি কর্মকর্তা জাবেদ আলীকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলএসডি কর্মকর্তা জাবেদ আলী কে ফোন করলে, তার পাঠানো চাল পরীক্ষা করে পাঠানো হয়েছে। এবং তার চালের গুণগত মান ভালো বলে দাবি করছেন। উভয়ের বক্তব্যের পার্থক্য থাকায় সন্দেহ পোষণ করে প্রশ্ন করা হলে উভয়পক্ষ এড়িয়ে যান। তবে চালক রাজামিয়া, আব্দুল করিম গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো ট ২২-৫৬৩৪ সহ অন্যান্য চালকদের দাবি, উভয় পক্ষের অসৎ লেনদেনের দাবি-দাওয়া না মেটার বলি হচ্ছি আমরা। তিনি জানান, বামনডাঙ্গা থেকে অর্থাৎ একই এলএলজি থেকে আরো দুই ট্রাক চাল ভর্তি ট্রাক নিয়ে আমরা একই সাথে প্রবেশ করি। কিন্তু ১গাড়ীর চাল নিলেও আমাদেরটা ২টা না নিয়ে আমরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। একই সাথে দুই দিনের ট্রাক বন্ধ রাখা এবং আমাদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে এখানে।
Leave a Reply