জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি সংকটসহ সার্বিক পরিস্থিতি শিগগিরই জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ই আগস্ট) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ আইন, ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। তিনি জানান, ঔষধ প্রশাসন কেমন হবে, ওষুধ বিক্রি ও আমদানির লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে, সেটাও খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘দ্য স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ ও ‘জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে, দেশে বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বুধবার (১০ই আগস্ট) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। মুনাফার একটি অংশ বিপিসি প্রকল্পের নামে জমা রেখেছে। বিপিসির পেমেন্টগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যর ঊর্ধ্বগতি পর্যবেক্ষণ করছিল বিপিসি। এফডিআর ভেঙে ভেঙে তেল কিনেছে সরকার। তেল সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্যই এসব ব্যবস্থা। প্রকল্পের টাকা এনে তেল কেনার কারেন্ট অ্যাকাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে।
Leave a Reply