বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাঁচলে দেশ বাঁচবে, ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতো যদি ক্ষমতায় বিএনপি জামাত থাকতো। ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে তারা ১২৮ জনকে হত্যা করেছে। সে সময় সারা দেশ খুনের নগরীতে পরিণত হয়েছিল।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি জামাত বার বার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা এ ষড়যন্ত্রে কখনো সফল হতে পারেনি। শেখ হাসিনার দুরদুর্শী নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি দেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। তিনি সেটা করেছেন। শুধু পদ্মা সেতুই নয়, মেট্রোরেল থেকে শুরু করে ফোর- সিক্স লেন রাস্তা নির্মাণ করেছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার।
তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ এ সরকার জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গি মুক্ত। বিশ্বের দরবারে দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (১৬ই জুলাই-২২) বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। বগুড়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর বাদশার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ তারিন। জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া- ৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শাসছুদ্দিন আল আজাদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. জাকির হোসেন নবাব, শাহাদাৎ আলম ঝুনু, দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, নাসরিন রহমান সিমা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি হিরো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক কামরুল মোর্শেদ আপেল, সদস্য সচিব রাকিব উদ্দিন প্রাং সিজার, এ্যাড. লাইজিন আরা লিনা, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাজনসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন ২৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এতে সভাপতি পদে পুনরায় আলমগীর বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক পদে মঞ্জুুরুল হক মঞ্জু নিবাচিত হন।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.fb.me/bd.ichamotinews
Leave a Reply