কনো কাজ কেই ছোট মনে করা উচিত নয়। জীবন বড়োই সুন্দর যদি সেটা ভালো করে উপলব্ধি করা যায়।জীবনে চলার পথ কখনো মসরিন হয় না।
আমার নাম মোছা.মাহমুদা আকতার মনিকা। আমার সবচেয়ে বড়ো পরিচয় আমি একজন মা। আমি একজন উদ্যোক্তা। পড়াশোনা মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পূর্ণ। নিয়ন অনুযায়ী মেয়েদের পরের বাড়িতে যেতে হয়।আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। তবে চাকরির পড়াশোনা করলেও মন দিয়ে পড়াশোনা হতো না।তবে সপ্ন ঠিকই দেখতাম আমি অফিসে লেবটব নিয়ে বসে কাজ করছি। একসময় হতাশায় জেকে বসলো।আর সেটা হলো প্রেগ্ন্যাসির সময়ে আরো বেশি।আমি কিছু একটা করতে চাই। চাই মানে চাইই। এক ছোট ভাই এর সাথে কথা বললাম তারপর শুরু হলো আমার যাত্রা।ছোট ভাইয়ের পেজ দিয়েই কাজ শুরু করি যেটা এখন Monika House নামে পরিচিত আমার নামেই। শুরু হলে আমার সপ্নের যাত্রা। আমার খুব পছন্দের খাবার গুলো নিয়ে আমার বিজনেস শুরু। আইডিয়া নিজে নিজেই তৈরি করি।দেখলাম এই খাবার গুলো অনেক লোক পছন্দ করে।তবে তা আর খাওয়া হয় না কারন এই খাবার গুলোর অথেনটিক একটা বিষয় আছে যা এখন পাওয়া যায় না। আর আমরা সবাই এখন সর্ট কাটে চলতে চাই।কেউ কস্ট করতে চাই না এভাবেই চলার শুরুতেই ব্যপক সারা পাই আমি।শুরু হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখ থেকে।বর কে বললাম বর বললো চিন্তা ভাবনা করে করো।কেমন দেখাবে এসব খাবার?আমি বললাম টাকা দাও দেখি কি হয়।সেল না হলে খেয়ে ফেলবো আমার তো চিন্তা এখন কাজ করা দেখা যাক কি হয়।তবে যে কনো কাজের ডিসিশন আপনাকেই মানে নিজেকেই নিতে হবে।অন্য কেউ কখনো আপনার মতো চিন্তা নাও করতে পারে। আমি বললাম ৩০০ টাকা দাও দেখি বিক্রি হলে হলো।নইলে খাবো আমরা। আমার উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা চলতে শুরু হলো আলহামদুলিল্লাহ ভালোই সারা পেতে শুরু করলাম নতুন হলেও ১ মাসে ১০ হাজার টাকা বিক্রি ও করলাম।আমাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। তবে কাজের ক্ষেত্রে আমার আইডিয়া কাজ করতো এটাই যে আমার প্রডাক্ট গুলো ইউনিক যা মানুষ চাইলেই তৈরি করে খেতে পারে না যেমন সিদল আমার সিগনেচার প্রডাক্ট, এছাড়া শুটকি মাছ ঘরে তৈরি, কুমোর বড়ি, মাষকলাই ডালের গুড়া, ঘি,আমার উত্তর বঙ্গের গাঞ্জিয়া লাল চাল, ঘানি ভাঙ্গা সরিষার খাঁটী তেল, গাভির খাঁটী দুধ,হাতে তৈরি সিরিঞ্জ সেমাই, চাকা সেমাই, কয়েক রকমের আচার। শুরু টা মূলত আমার কুমোর বড়ি আর সিদল দিয়েই শুরু হয়েছিলো। ১ মাসে ভালো রেসপন্স পাওয়ার পর চিন্তা আরো পজিটিভ হয়ে গেলো যে এটা আমি প্রফেশনালি করবো।আসতে আসতে ই-কমার্স আর এফ কমার্স টাও বুঝতে শিখলাম উই গ্রুপ এ জয়েন করে।তারপর আমার বিজনেস এর সকল প্রফেশনাল কাজ করে ফেললাম ওয়েবসাইট করলাম (বর কে না বলে)।।আমি চাইছিলাম আমার একটা আইডেন্টিটি হোক।আর দের বছরে আমি সেটা তৈরি করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। ওয়েবসাইট খুলাম। ওয়েবসাইট থেকে ও ভালো সারা পেয়েছি। ডোমেইন হোস্টিং করলাম টিন করলাম ট্রেড লাইসেন্স করলাম কম্পানির কার্ড থেকে শুরু করে সব করলাম। তবে প্রথমে আমার বাবার বাড়ির লোকজন জানতো না।শুশুড় বাড়িতে সমস্যা হয়নি আমার এটা নিয়ে কাজ করাতে। আলহামদুলিল্লাহ বাবার বাড়ি আর শশুড় বাড়ির ফুল সাপোর্ট আছে। সবচেয়ে বড়ো সাপোর্টার আমার হাসবেন্ড। তারপর শুরু হলো অনেক বাঁধা বিপত্তি। লকডাউন করোনা আর ডেলিভারি সিস্টেম। আমার তো বিজনেস এর পুজি কম।কম মানে ৩০০ টাকা থেকে শুরু। তাই তখন ডেলিভারি ম্যান রাখাও সম্ভব হয়নি।তাই বর ডেলিভারি করতো অনেকেই অনেক কিছু বলতো প্রথমে খারাপ লাগলেও এখন আর লাগে না। আপনি ভালো কিছু করলেও মানুষ তার সমালোচনা করবে।মন্দ করলে তো কথায় নেই বাচ্চার বয়স ৮ মাস তখন থেকেই আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু। আমার যুদ্ধ টা অনেক কঠিন হলেও আমি থেমে যাইনি।ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার বাচ্চা সব সামলিয়ে তারপর বিজনেস এর কাজ করতাম। Monika House আমার সপ্নের নাম।আমি লেবটব নিজের উদ্যোগের টাকায় কিনেছি আলহামদুলিল্লাহ আমার প্রডাক্ট গোটা দেশে পৌছাতে পেরেছি দের বছরে।এই অল্প সময়ে একটা রেডিও চ্যানেলে ইন্টার ভিউও দিয়েছি আমার উদ্যোগ নিয়ে। প্রতিটি মেয়েই মাথা উচু করে সন্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। আমার ইচ্ছে মেয়েদের নিয়ে কাজ করার প্রতিটি মেয়েই সাবলম্বী হোক
Leave a Reply