1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
মেসির স্বপ্ন কোপা,নেইমারেরও স্বপ্ন কোপা - ইছামতী নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

মেসির স্বপ্ন কোপা,নেইমারেরও স্বপ্ন কোপা

Reporter Name
  • Update Time : Saturday, 10 July, 2021
  • ৩৯৫ Time View

কোপা আমেরিকা কিংবা বিশ্বকাপ; যাই আসুক না কেন, প্রতিবার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ঘুরে ফিরে সামনে উঠে আসে সেই এক প্রশ্ন, ‘মেসির স্বপ্ন সত্যি হবে তো?’ 

সেই প্রশ্ন এবারও আছে। পর্দা নামার অপেক্ষায় থাকা কোপা আমেরিকা শুরুর আগে থেকে ছিল, টানা তিন আর সব মিলিয়ে চারটি ফাইনাল হারের পর পঞ্চমটার আগে তো উঠে আসছে আরও বেশি করে। তবে লিওনেল মেসির কোপা জেতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার তোড়ে অনেকটা আড়ালেই পড়ে ছিল নেইমারের শিরোপা-স্বপ্ন, এখনো আছে বৈকি! অথচ কথাটা তাকে নিয়েও তো আলোচনাটা সমানই হওয়ার কথা মেসির মতো তাকেও যে বড় টুর্নামেন্ট বঞ্চিত রেখেছে সমানে। নেইমারের এই না পাওয়ার গল্প অবশ্য নিজের ব্যর্থতা নয়। এ পর্যন্ত চোটের কারণেই টুর্নামেন্ট মিস করেছেন বেশ কয়েকটা, ছিলেন না বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, পরের কোপা আমেরিকায় লাল কার্ড দেখে পেলেন নিষেধাজ্ঞা, এরপরের কোপায় চোট। গেলবার দল শিরোপা জিতেছে, সে উৎসবেও ছিল না নেইমারের উপস্থিতি, মেটাটার্সাল হাড় ভেঙে যে তিনি টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন।

অথচ জাতীয় দলে নেইমারের পরিসংখ্যান দেখুন। এখন পর্যন্ত করেছেন ৬৮ গোল, কত গোল করিয়েছেন তার তো ইয়ত্তাই নেই! আর ম্যাচ দশেক খেললে যে পেলেকে টপকে বনে যাবেন ব্রাজিলের শীর্ষ গোলদাতা, তা নিয়ে কোনো সন্দেহই থাকার কথা নয়। সেই নেইমারের নামের পাশে এখন পর্যন্ত কোনো ‘মেজর’ শিরোপা ছাড়া এক কনফেড কাপ বিষয়টা যেন বড্ড বেমানান।

সেই নেইমারই এবার পারফর্ম করে, করিয়ে ব্রাজিলকে নিয়ে এসেছেন আরও একটা কোপা আমেরিকার ফাইনালে। এবার শিরোপা জিতলে নেইমারের ব্রাজিল ধরে ফেলবে রোনালদো, রোনালদিনহো-যুগের ব্রাজিলকেও। ২০০৪ আর ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে হারিয়ে টানা দুই কোপা আমেরিকা জিতেছিল দলটা। সে হাতছানি এবার তিতে-নেইমারের ব্রাজিলের সামনে। স্বর্ণযুগের সে ব্রাজিলকে অন্তত একটা দিক থেকে ছুঁয়ে ফেলার হাতছানিটা যে কম কিছু নয়।তবে সেটা একপাশে রেখে নেইমার নিশ্চিতভাবে চাইবেন ম্যাচটা জিততে। তাহলেই যে মেজর টুর্নামেন্টের আক্ষেপ ঘুচে যায় তার। মেসির গল্পটা শেষ বছর সাতেকে আপনি কম শোনেননি। তার দল খেলেছে তিনটা মেজর ফাইনালে জেতেনি একটিও, আক্ষেপের গল্পটাও আপনি শুনেছেন বহুবার। এবারের গল্পটা আক্ষেপের না হোক, এমন কিছুর প্রাণান্তকর চেষ্টাটা যে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।অন্যদিকে নেইমার, করেছেন দুই গোল, যোগান দিয়েছেন দলের তিন গোলে। তবে প্রত্যক্ষ অবদানের বাইরে পরোক্ষভাবে ব্রাজিলের খেলা কম গড়ে দেননি পিএসজি তারকা। গ্রুপ পর্বের শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নেইমারকে শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ তিতে। সেই ম্যাচেই দল করেছিল ড্র। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলে তাই নেইমার আর মেসির প্রভাবটা খুবই পরিষ্কার।

অভিজ্ঞতা তো আছেই, সঙ্গে আছে দুজনের মুদ্রার উল্টোপিঠের মতো একে অপরকে চেনার বিষয়টাও। একে অপরের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতাটাকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। সে জ্ঞানটা নিজেরা তো কাজে লাগাবেনই, দলেও কি ছড়িয়ে দেবেন না তারা? ফাইনালের আগে তাই দুজনের সবই পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব; পারফর্ম্যান্স, অভিজ্ঞতা, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা… সবই। কালকের ফাইনাল শেষে হবে একজনের স্বপ্নপূরণ। সেটা নির্ভর করছে যে এ দু’জনের সাফল্য ব্যর্থতার ওপরই!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *