খাদিজা আক্তার রউজা, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গত ১লা মে থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ, ২০২১। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) টানা পাঁচ বছর যাবত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম সপ্তাহ পালন করে আসছে। বিএমএসএফ বরাবরই গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায়।
এ ব্যাপারে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের কোনো দ্বিমত নেই-তবুও কেন স্বীকৃতি প্রদানের দীর্ঘসূত্রিতা? কারণ অজ্ঞাত কিংবা কেবলই অবহেলাজনিত। আমরা বিলম্বে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করছি।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা,আর সেই পেশার সম্মান করা প্রতিটা সাংবাদিকের দ্বায়ীত্ব। এই মহান পেশাকে কলঙ্কিত করার কোন অধিকার কারোর নাই।
তবে কিছু হলুদ এবং ভূয়া সাংবাদিক বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীতে পরিনত করেছে ভূয়া ভন্ড শ্রেণীর সাংবাদিকরা। সম্পাদকদের কার্ড বাণিজ্যের ঘৃণ্য সব কর্মকান্ডই মূলত সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে বৃহত্তর সমাজ, জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এবং তারাই সমাজটাকে নোংরা করে কলঙ্কিত করছে, এদের মূল শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা উচিত। যেন ভুয়া আর কোন হলুদ সাংবাদিক এর জন্ম না হয়। এদের জন্য সৎ নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন।
কিন্তুু একজন সাংবাদিক যখন নির্যাতনের শিকার হয় তখন মনে প্রশ্ন জেগে উঠে আসলে তথ্য শংগ্রহের নামে তার কোথাও কোন ভুল রয়েছে কিনা? কেননা একজন সাংবাদিক আগে তার আইন সম্বন্ধে জানতে হবে। যদি একজন সাংবাদিক তার নিজের আইনের সীমা টুকু না জানে তাহলে তার প্রতি পদক্ষেপ এই বিপদ হতে পারে।
কোন পক্ষবাদীতায় সাংবাদিকতা হয়না, সাংবাদিকতা করতে হলে নিরপেক্ষ সাংবাদিক হতে হবে। রাজনীতির সাথে জড়িয়ে কিংবা তেলমারা কোন দলের সাথে জড়িয়ে নিজেকে বড় করে না দেখে নিজের পরিশ্রম আর প্রচেষ্টা দিয়ে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করে জাতির কাছে তুলে ধরা মানেই হচ্ছে আপনি একজন বলিষ্ঠ সাংবাদিক। আপনার যশ-খ্যাতি আর প্রতিভার কথা যখন প্রতিটা মানুষের মুখে মুখে রটে যাবে।ঠিক তখনি আপনি অনেক বড় এবং অনেক উপরের মানুষ।
আমরা কিছু সংবাদ কর্মি আছি, যা -আমরা নিজেরাই ভাল নই।কাক কিন্তুু কাকের মাংস খায়না। অথচ আমরা সাংবদিকরা এক সাংবাদিক আরেক সাংবাদিকের পিছনে মানুষ খ্যাকো বাঘের মত তারা করে চলছে প্রতি নিহত। এটাযে কি লজ্জা,আর ন্যাক্কারজনক ঘটনা তা অনেকটাই বলা বাহুল্য । এমন নিকৃষ্ট চিন্তা চেতনার আর মনোভাব যাদের আছে সেই মানুষগুলো সতর্ক হয়ে যান। কারণ এক সাংবাদিক আরেক সাংবাদিকের ভাই।
এখানে কাউকে ছোট করে দেখার কিছুই নেই, সবাই জুনিয়র থেকেই সিনিয়র হয়।আজ আমার অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা আমাদের মতো জুনিয়রদের প্রায়ই দেখা যায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং অপমানজনক কথা বলেন।তাতে সিনিয়র ভাইয়েরা কি ভাবেন?আপনাদের সম্মান বাড়ছে? না-মোটেও না তাতে বরং আপনারা উপড় থেকে আস্তে আস্তে অনেকটাই নিচে নেমে আসছেন।
আমরা বরাবরি আপনাদের কে সম্মান করি,কিন্তুু এটা আমাদের দূর্বলতা নয় যে আপনাকে পূজা করতে হবে।
হ্যা,পূজা তখনি করবো যখন আপনারা সিনিয়র সাংবাদিকরা আমাদের পাশে থেকে একনিষ্ঠ ভাবে সঠিক এবং সুস্পষ্ট পথ দেখিয়ে দিয়ে ছোট ছোট ভুল গুলো শুদ্রে দিয়ে আপন করে নিবেন তখন আপনাদের পূজা নয় শুধু, কলিজা ভুনা করে খায়তে ইচ্ছা করবে।
আর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বলছেন? একজন নকল কারি পরীক্ষায় নকল করে কোন রকমে পাস করে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করলেই সে শিক্ষিত হয়ে যায় না।আর একজন নকল ছারা জেনুইন লেখাপড়া করে সে হয়তো কোন না কোন কারনে একটা সার্টিফিকেট হাতে পেল না তাই বলে সে অশিক্ষিত একথাটা দয়া করে আর কোন দিন কেউ বলবেন না।
একজন সংবাদকর্মীর নীতি আর আদর্শকে ছোট করে দেখবেন না। কারন শুধু সিনিয়রদের মধ্যেই যে প্রফেশনাল সাংবাদিক আছে তা কিন্তু ঠিক না। জুনিয়রদের মধ্যেও অনেক ভালো সাংবাদিক আছে।কিন্তুু তবু তাকে প্রফেশনাল সাংবাদিক বলা হয়না।
কারন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ করার মত কোন সার্টিফিকেট নাই, তাই নয় কি?অনেকটা অন্ধআইনের মতো।আইন হচ্ছে মাকড়সার জালের মতো, ধনি পড়লে ছিড়ে যায়, আর গরিব পড়লে আটকে যায়।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানীত সভাপতির প্রতি এবং সম্পাদক সাহেবের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমার লেখা এখানেই শেষ করছি।সেই সাথে সবাইকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা, সফলতা বয়ে আনুক আমাদের চলার পথে।
লেখকঃ- একুশে সংবাদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ খাদিজা আক্তার রউজা,এবং সদস্য বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, গাজীপুর।
Leave a Reply